Online Income

অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২১ ( মোবাইল ও কম্পিউটার )

SM ALAMGIR

বিশ্বস্থতার সাথে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে  2021 সালে  অনলাইনে ইনকাম বা আয় করার সহজ উপায়”  টাইটেল দেখে আপনি এই পোস্টটিতে ক্লিক করেছেন। তার মানে আপনি অনলাইন আয় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি বলবো এটা আপনার জন্য খুবই উপকারী একটি আর্টিকেল। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি অনলাইন আয়ের সকল তথ্য জানতে পারবেন।তার আগে—
আপনাকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখিত হতে হবে। যেমন :
.
  • আপনি কি অনলাইনে ইনকাম করতে চান ?
  • আপনি কি আপনার প্রফেশনাল কাজের ফাঁকে বাড়তি ইনকাম করতে চান ?
  • কাজ করার পর খুব সহজেই আপনার একাউন্টে পেমেন্ট পেতে চান ?
  • আপনার হাতে প্রতিদিন কি 2/3 ঘন্টা সময় আছে ?
  • আপনার কি একটি স্মার্টফোন বা একটি কম্পিউটার আছে ?

.

জানি এসব প্রশ্ন সচরাচর সবাই কম-বেশি সম্মুখিন হয়েছেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে আসল কথায় যাওয়া যাক।

.
আপনি নিশ্চয় ২০২১ সালে এসে অনলাইনে ইনকাম করার নিশ্চিত উপায় খুজছেন। আবার কেউ কেউ অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট থেকে করে খুব সহজেই পেমেন্ট পেতে চাইছেন। অনলাইন হতে আয় করার নিশ্চিত কিছু উপায় এবং নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন, এমন কিছু সাইট নিয়ে আলোচনা করবো।
.
২০২১ সালে অনলাইনে আয় করার জন্য শুধুমাত্র আপনার মেধা, শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন। আপনি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এখনো অবধি ঘরে বসে অনলাইন হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি হয়ত বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইছেন না! এমনকি আপনার বিশ্বাসও হচ্ছেনা !!!  কোন সমস্যা নেই। আমি আপনাকে বাস্তব উদাহরনের মাধ্যমে দেখিয়ে দেব কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করবেন? চলে না যেয়ে সাথেই থাকুন।
.
আপনি একজন  ছাত্র, গৃহিনী কিংবা চাকরিজীবী যাই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার লেখা-পড়া বা কাজের ফাঁকে কিংবা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ব্যয় করে প্রতি মাসে মোটামুটি ভালোমানের স্মার্ট এমাউন্ট অনলাইনে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায় কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে বাড়তি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
.
অধিকাংশ সময় আমরা আমাদের সময়কে বিভিন্ন স্যোসিয়াল মিডিয়ায় মাধ্যমে অপচয় করে থাকি। যা আমাদের কোন কাজে আসে না। সেই সময়টা যদি আপনি সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যয় করেন, তাহলে ঘরে বসেই আপনি বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।
.

অনলাইনে ইনকাম বা  আয় করার নিশ্চিত উপায়:

.

এখন আমরা আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট শেয়ার করব। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে 3/6 মাস কাজ করলে আপনিও প্রতি মাসে অনলাইনে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু ধিরে ধিরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। একটি বিষয় অবশ্যই  মনে রাখবেন, কেউ কোনদিন একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
.
.

Youtube থেকে ইনকাম :

 বর্তমান সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইউটিউব। একটা সময় মানুষ সামাজিক যোগাযোগ বলতে শুধু মাত্র ফেসবুক কেই মনে করতো। কিন্ত বর্তমান সময়ে ইউটিউব এতোটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, ফেসবুক থেকে এখন মানুষ ইউটিউব বেশি ব্যবহার করে। আর এখন বর্তমানে সারা পৃথিবীতে গুগল এর পরেই ইউটিউব এর অবস্থান। পিছনে ফেলেছে সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুককেও। ইউটিউবে আপনি একটি চ্যানেল খুলে দক্ষতার সাথে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
.

এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবে-

.
  • নিজের ব্র্যান্ডিং বা ব্যবসায়ের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা।
  • অডিয়েন্স বা কাস্টমারের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে প্রতি নিয়ত আপলোড করা।
  • ইউটিউব চ্যানেল এর এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা
  • ইউটিউব চ্যানেলকে মার্কেটিং করা ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো এবং টার্গেট অনুযায়ী অডিয়েন্স আনার।
  • ইউটিউব এর পলিসি ও এলগোরিদম জানা, যাতে স্পাম না হয়।

.

কোন ধরণের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে হবে?

.

  • আপনাকে নিজস্ব ভিডিও তৈরি করতে হবে। অন্য কারো ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোন ভিডিও কপি করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা।  আপনার পূর্বে কেউ উক্ত ভিডিওটি আপলোড করে থাকলে তার কপিরাইট আপনার নয়। সুতরাং ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে। এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অন্য কারো হলে সেটাও সেটা আপলোড করা যাবেনা।
  • ভিডিওর মাঝে কোন প্রকার অশ্লীলতা ব্যবহার করা যাবে না। যেকোনো বয়সের মানুষ যেন ভিডিওটি দেখতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • ভালো কোয়ালিটি ও ভালো রেজুলেশনের ভিডিও তৈরি করতে হবে। ক্যামেরা আবশ্যক নয়, মোবাইল ফোনেও ভাল ভিডিও ধারণ করা যায়।
  • ভিডিওর টাইটেল ইউনিক এবং খুব আকর্ষণীয় হতে হবে, দেখা যায় ভিডিওর কন্টেন্ট আহামরি ভালো না হলেও শুধু টাইটেলের জন্য প্রচুর ভিউ হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে টাইটেল যেন কন্টেন্টের সাথে অসামাঞ্জস্য না হয়। অসামানঞ্জস্য টাইটেলে রিপোর্ট পড়লে ইউটিউব ভিডিও ডিলেট করে দিতে পারে। এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
  • শর্ট লেন্থের ভিডিও বেশ কার্যকর। ৫ মিনিটের ভিডিওর ভিউ প্রচুর হয়। সাধারণত লেন্থ বেশী হলে ইউজারের বিরক্তি চলে আসে ফলে সে চলে যায় এবং তা চ্যানেল এর জন্য মোটেও ভাল নয়।
  • অবশ্যই ভিডিওতে আপনার চ্যনেলের লগো ব্যবহার করবেন ও টেক্সট ব্যবহার করবেন যেখানে প্রয়োজনীয়।
  • খুব আকর্ষণীয় একটি থাম্পনেইল ব্যবহার করুন, আকর্ষণীয় থাম্পনেইল প্রচুর ভিজিটরকে আকৃষ্ট করে। এবং ভিউ বেশি হয়।

.

সফল হতে হলে ইউটিউবের এসইও করতে হবে

ইউটিউব চ্যানেল বানানোই শেষ নয়। যদি প্রচুর সাবস্কাইবার ও ভিউয়ার পেতে হয় তবে অবশ্যই চ্যানেলটির সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করতে হবে। ইউটিউবের এসইও করার পক্রিয়া হলো –

.

  • চ্যানেলের আকর্ষণীয় নাম, লগো ও ডিসক্রিপশন নির্বাচন করতে হবে।
  • চ্যানেলের শর্ট ও প্রাসঙ্গিক URL দিতে হবে। মনে রাখতে হবে অন্তন ১০০ জন সাবস্ক্রাইবার ও চ্যানেলের বয়স ৩০ দিন না হলে URL চেঞ্জ করা যায় না।
  • চ্যানেলের কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। সাধারণত যে সব কি-ওয়ার্ড দ্বারা আপনার চ্যানেলকে সার্চ করা হয়। সেক্ষত্রে ইউটিউবের সাজেস্টেড কি-ওয়ার্ডগুলো বেছে নিতে পারেন। কি-ওয়ার্ডগুলো অবশ্যই ট্যাগে ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রত্যেক ভিডিও টাইটেলে আপনার চ্যানেলের নাম দিতে হবে।

.

এ সম্পর্কে আরো পড়ুন ….. ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং কি? কেন করবেন? কিভাবে করলে সফল হবেন?

.

.

Facebook থেকে ইনকাম:

ইউটিউবের মতো ফেসবুক থেকেও আপনি অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে হবে। এবং সেই পেইজের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

  • ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবে।
  • ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট বা শেয়ারের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবে।
  • কোন প্রোডাক্ট সেল করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবে।
  • যে কোন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবে।

.

এ সম্পর্কে আরো পড়ুন ….. ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে যা জানা জরুরি

.

Blogging বা আর্টিকেল লিখে ইনকাম : 

যাদের লেখা-লেখি করার অভ্যাস আছে, এই সেক্টরটি তার জন্য খুবই উপযোগী। এখনে আপনার অভিজ্ঞতার শেয়ারের পাশা-পাশি অতি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। যদি 2/3 মাস প্রথমে আপনাকে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার যা যা লাগবে-

  • একটি ব্লগার সাইট তৈরি করতে হবে।
  • প্রতিদিন নিজের তৈরি লেখা আপলোড করতে হবে।
  • প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আনার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
  • ধৈর্য্য ধরে 2/3 মাস লেগে থাকতে হবে।

 

নিজের ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম:

বর্তমান যুগে টেকনোলজি উন্নতি সাধনের সাথে সাথে মানুষ দিন দিন খুব অনলাইন কেনা কাটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমানে ব্যবসা সফল হচ্ছে। আপনি চাইলে, খুব কম টাকায় একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে আপনার নিজেস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ইনকামের পাশা-পাশি একটি ব্র্যান্ডিং তৈরি হবে। যা আপনাকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিবে।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:

অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনি যদি অনলাইনে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে  সফল হচ্ছেন।

.

.

 সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি ,  আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি  আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে।  আল্লাহ হাফেজ।

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button