Entrepreneur

অসহায় নারীর পাশে দাঁড়িছেন – উদ্যোক্তা আইরিন আক্তার তৃষ্ণা

জীবনের বাস্তব চিত্র

নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয় । একজন নারী উদ্যোক্তা হতে হয় সকল বাঁধা পেরিয়ে কঠিন শক্ত খুঁটির ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় । সামাজিক, পারিবারিক, আত্মীয় স্বজনদের নানা কথা উপেক্ষা করেই টিকে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে  টিকে থাকার তিক্তার পর যে সাফলতা আসে, সেটা একজন নারী উদ্যোক্তার জন্য বিশাল সাফলতা।

নিজের কাজকে সব সময় গুরুত্ব দিতে গিয়ে পরিবারের অনেক দিকে ঠিক মত সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। তারপরও সব ঠিক-ঠাক করে চলার চেষ্টা করি।  কিছুদিন ধরেই আমার বাচ্চা খুব অসুস্থ। তার শারীরিক উন্নতি হচ্ছে না কিছুতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমি । তবুও কাজ থেমে নেই , প্রতিনিয়ত কর্মিরা কাজ করতেছে । আজ অসুস্থ্য বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসে আছি।  আর কর্মীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করতেছি,  তখন বোরকা পরা একজন মহিলা 30 ঊর্ধ্ব বয়স আমার কাছে এসে হাজির হলো, এমন সব সময়ই অনেক মহিলারাই আমার কাছে কাজের জন্য আসে,  এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। মাহিলাটা আমাকে খুব আকুল নয়নে বললো  “আপা কোন কাজ আছে???”

তার কথা শুনে আমি স্বাভাবিকের ন্যায়  তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম “ আপনি কি কি কাজ পারেন?”

তখন মহিলাটি উত্তর দিল-  আপা আমি একদম নতুন । কোন কাজ পারিনা । তবে দেখিয়ে দিলে করতে পারব।

তখন আমি বললাম আসলে নতুনদের তো আর আমি এখন কাজ দিচ্ছি না।  আর দেখিয়ে দেয়ার মত সময়  কারো কাছে এখন আর নেই। আপনি বাসায় আগে কাজ শিখেন তারপর আসেন। (smalamgir)

তখন পাশ থেকে আরেক কর্মী তাকে জিজ্ঞেস করল আপনার হাসবেন্ড কি করে ? সেই মহিলাটি কিছুক্ষন চুপ থেকে, মাথা নিচু করে উত্তর দিল- সে আমাকে  ছেড়ে দিয়েছে । এ নিয়ে  অনেক ঝামেলা চলতাছে । হয়তো আর নিবেনা। বাচ্চাটা নিয়ে আর কতদিন বাবার কাছে পরে থাকবো তাই চেষ্টা করতেছি নিজে যদি কিছু করতে পারি।

কথাগুলো শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো।  মন চাইল তার জন্য কিছু করি। তবে সে কোনো কাজ পারে না, তবু  তাকে জিজ্ঞেস করলাম: আপনি কি মেশিন চালাতে পারেন?

সে বলল একটু একটু পারি । আমি বললাম ঠিক আছে তাতেই হবে।  আপনি আমার কারখানার ভিতরে মেশিন আছে চালান।  আমি একটু দেখি। তখন আমি তাকে কিছু কাজ দেখিয়ে দিলাম অসুস্থ মেয়েকে কোলে নিয়ে । সে কাজ করতেছে আমি দেখে অনেকটা শান্তি অনুভব করলাম । অনেক বড় কিছু তার জন্য করতে পারবো না, তবে আংশিক হলেও তাকে একটু সাহায্য করতে পারব। (smalamgir)

এই মেয়েটা কি কখনো ভেবেছিলো এই 30 বছর পরে তাকে সংসার ছাড়তে হবে, তার সবচেয়ে কাছের মানুষটা হাত ছেড়ে দিবে। তাকে রোজগার করার জন্য বাইরে বেরোতে হবে। এমন কিছু সংখ্যক মেয়েদের জন্য আমি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা  করেছি । ইচ্ছা আছে হাজারো মেয়েদের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার।  পারবো কিনা জানিনা, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করতেছি  এবং করেই যাব । ইনশাআল্লাহ ।

অবশেষে আমার পরিচয়টা আমি দিয়ে যাই -আমি আইরিন আক্তার তৃষ্ণা, যশোরের মেয়ে, টাঙ্গাইল মধুপুর আমার শ্বশুরবাড়ি।  আমি হস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি । আমার নিজস্ব অনেক কর্মী আছে, আমি হাতের কাজের সকল ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করে পাইকারী সেল করি এবং খুচরাও বিক্রি করি। (smalamgir)

ধন্যবাদ সবাইকে

 

 

Airen Akter Tresna

Head Admin

Digital e-Commerce Market Place

&

Managing Director

Modern Boutique House

 

 

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

2 Comments

  1. ভালো চিন্তা ভাবনা আপনার,এগিয়ে যান আপনার সফলতা কামনা করছি আপু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button