নানান সমস্যার কারণে বেশির ভাগ সময় নিজেকে কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে । বতর্মান সময়ের তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, পারিবারিক বা সামাজিক বিভিন্ন কাজের কারনে কাজে মনোযোগ দেয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
.
অনেক সময় দেখা যায় , আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক করলেন আজ সারাদিন কি কি কাজ করবেন । তার একটা প্ল্যানও করলেন । আপনি সকালে ভেবেছেন এক কিন্তু দিনশেষে দেখলেন কিছুই হলো না । হয়তো আপনি বন্ধু মহলের সাথে আড্ডায় মেতে উঠলেন অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ।এটা আমাদের অনেকের সাথেই হয়ে থাকে । এতে আপনি আপনার নিজের সময় নষ্ট করছেন এবং কাজ বা পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছেন ।
.
কাজ বা পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির কিছু উপায় আছে । এসব উপায়গুলো নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারলে কাজে মনোযোগী হওয়া সম্ভব। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
.
পর্যাপ্ত ঘুমান
ঠিকভাবে ঘুম না হলে সেটার প্রভাব আমাদের মনের উপর পড়ে । আর মন ভালো না থাকলে কাজে মনোযোগ দেয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে । প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন । প্রতিদিন নিয়ম করে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে । ঘুমালে শরীর ভালো থাকে , কাজে মনোযোগ দেয়া যায় ।
.
নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করুন
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে শরীর ঝরঝরে থাকে । ব্যায়াম স্মরণশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি সহায়ক । নিয়মিত ব্যায়াম এর অভ্যেস করলে কাজে মনোযোগী হওয়া যায় । নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
.
শৃঙ্খলা মেনে চলুন
শৃঙ্খলা মেনে চললে কাজের মধ্যে সামঞ্জস্যতা আসে । শৃঙ্খলা বজায় থাকে । হতেপারে সামাজিক, পারিবারিক বা ধর্মীয় শৃঙ্খলা । জীবনটাকে একটা নিয়মের বা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসুন ।
.
.
ডায়েরী লেখার অভ্যাস করুন
ডায়েরী লেখার অভ্যেস গড়ে তুলতে পারেন । কি কাজ করবেন ডায়েরীতে লিখে রাখুন এবং ডায়েরী নিজের সাথে রাখুন । এতে করে কাজ করার তাগিদ পাওয়া যাবে । এবং অনেকটা গুছালো মনে হবে।
.
বই পড়ার অভ্যাস করুন
নিয়মিত বই পড়ার অভ্যেস কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করে । নিয়মিত বই পড়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন । তবে মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনে নয়, হাতে নিয়ে বই পড়ার অভ্যেস করুন নিয়মিত । পৃথিবীতে যত বড় সফল ও বিখ্যাত মানুষ আছেন তাঁরা সবাই নিয়মিত বই পড়েন । বই পড়লে জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হয়।
.
কাজকে অগ্রাধিকার দিন
সারাদিনের কাজকে ভাগ করে নিতে পারেন । যে কাজটা সবচেয়ে বেশি জরুরী সেটা আগে করুন । তবে এক কাজ করতে গিয়ে অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না । একটা কাজ শেষ করে অন্য কাজ করুন । কাজ ভাগ করে নিলে কাজ করতে সহজ হয় এবং মনোযোগী হওয়া যায় । এ জন্য কাজকে আগে অগ্রাধিকার দিন।
.
.
নিজেকে বিরতি দিন
গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষের একটানা ৯০ মিনিট কাজে মনোযোগ থাকে । এর পর তার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। একটানা কাজ না করে কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবার কাজ করা শুরু করুন । এতে কাজ করার উদ্যম পাবেন । এবং কাজও ভালো হবে।
.
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন
মনোযোগ এ ব্যাঘাত ঘটায় এমন জিনিস থেকে দূরে থাকুন । কোন কাজ করার আগে মোবাইল বা টিভি নিয়ে বসে পড়বেন না । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো মনোযোগ নষ্ট করতে পারে । তাই এগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন । নিজেকে নিয়ন্ত্রন না রাখলে আপনি কোন কাজে কখনই সফল হতে পারবেন না।
.
আনন্দপূর্ণ কাজ করুন
আপনি যে কাজ করে আনন্দ পান সেই কাজ করুন । যে কাজ করে আনন্দ পান না সেটা না করাই ভালো । আগ্রহের বিষয়ে কাজ করা সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এতে মনোযোগ ধরে রাখাও সহজ হয়।
.
নিয়মিত মগজ ধোলাই করুন
মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন গঠনমূলক কাজে । এ ক্ষেত্রে ব্রেইন গেমগুলো খুবই কার্যকর। দিনের একটা অংশে আপনি – দাবা, সুডোকো , পাজল এসব গেম খেলতে পারেন । এতে ব্রেইন সচল থাকবে এবং কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করা যাবে । এজন্য আপনি মগজ ধোলাই করতে পাবেন । নিচের লিংকে ক্লিক করে নিজের মগজ ধোলাই করে নিন।
.
.
বিনোদন
গবেষণায় দেখা গেছে কাজ করার সময় হাল্কা মিউজিক কিংবা আপনার পছন্দের কিছু শুনতে পারেন। এগুলো মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে । কাজের বিরতিতে কম শব্দে বা মৃদু শব্দে আপনার পছন্দের কোন গান কিংবা ইসলামিক সংগীত শুনে নিতে পারেন। এতে নুতন করে আপনার কাজে মন বসাতে সহায়ক হবে।
.
হালকা খাবার
কাজ করার ফাঁকে পান করে নিতে পারেন এক কাপ কফি বা চা । এতে নিজেকে ফ্রেশ লাগবে । কাজে মনোযোগ দিতে সহজ হবে।
.
এভাবে চর্চা করতে থাকলে দেখবেন সব কাজেই মনোযোগ দিতে পারছেন । কাজে আর একঘেঁয়েমি থাকবে না । কাজ করতেও ভালো লাগবে ।
.
.
☑ সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি , আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে। আল্লাহ হাফেজ।
.
আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল
Post Views: 296
নিয়ম মেনে চললে সব কিছুই সম্ভব।
ঠিক বলেছেন আপু।
এমন আর্টিকেল আরো দেখতে চাই।
দোয়া করবেন।
অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া।লেখাগুলো পড়ে অনেক উপকৃত হবো আমরা সবাই। আমাদের জন্য এত পরিশ্রম করেন সেই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবা।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
Thanks
লেখাটা পড়ে সত্যি ভালো লাগলো আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবকিছুই নিয়ম মেনে চললে সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
Thanks
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া
সকাল সকাল আপনার লেখাটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমাদের সবার এই নিয়ম মেনে চলা উচিত এতে করে আমাদেরই ভালো হবে।