Entrepreneur

গল্পে গল্পে বিশ্বস্ত উদ্যোক্তাদের পরিচিতি- পর্ব : 02

SM ALAMGIR

গল্পে গল্পে বিশ্বস্ত উদ্যোক্তাদের পরিচিতি- পর্ব : 02

.

যারা প্রথম পর্ব দেখেন নি, তারা নিচের লিংকে গিয়ে প্রথম পর্ব দেখে নিন। তা না হলে, দ্বিতীয় পর্ব ভালো বুঝবেন না।

প্রথম পর্বের লিংক : গল্পে গল্পে বিশ্বস্ত উদ্যোক্তাদের পরিচিতি- পর্ব : 01

.

প্রথম পর্বের পর……….

মধ্যভোজন পরিসমাপ্ত করে, অফিসের নিজেস্ব আসন গ্রহন করার পর অনুভব করলাম; রুমের আশে পাশে কিছু পায়ের শব্দ শুনা যাচ্ছে। অনুমতি না চাইতেই আমি তাদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিলাম। মনে হচ্ছে, কিছু বলতে চাচ্ছে, সংকোচে বলতে পারছে না। তাই নিজেই বললাম- কিছু জানতে চাচ্ছেন-

তন্মোধ্যে একজন বলবো : আপনি যে খারাব টা পার্সেল করেছিলেন সেটা কোথা থেকে এনেছিলেন ? আমি বললাম : আমাদের গ্রুপের বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা সুলতানা শিরিন আপুর ফেসবুক পেইজ  Dream’s kitchen  নিকট অর্ডার করেছিলাম। কথাটা বলা দেরি, সবাই দেখি অফিসের কাজ বাদ দিয়ে মোবাইল গুতাইতে (সার্চ) শুরু করেছে। মিনিট পাঁচেক পর এমডি স্যারের রুমে গিয়ে দেখি, সেখানেও একই আলোচনা চলছে।

 

 

অফিস শেষ করে বাসায় ফিরার পথে মনে হলো বাজার নিয়ে যেতে হবে, তাই বাজারের দিকে রওনা দিলাম। বাজারে গিয়ে দেখি ভেজাল আর ভেজাল। তাই কবির ভাষায় বলতে হয়-

“ভেজাল ভেজাল ভেজাল, ভেজালে সব শেষ,

ভেজাল মুক্ত হবে কি আমাদের এই দেশ  ? ”

 

কিছু দূর সামনে গিয়ে লক্ষ্য করলাম, ভেজাল অভিযান চলছে। দেখে ভালই লাগলো। অভিযান শেষ করে তারা চলে যাওয়ার পর আবার তার ভেজালে লিপ্ত হচ্ছে। তাই আবারো কবির ভাষায় বলতে হয়-

“যেখানেতে ভেজাল অভিযান করে গেল শেষ,

সেই খানেতে আবার ভেজাল, কেমনে চলবে দেশ?

চাউলে ভেজাল, ডাউলে ভেজাল, আরো ভেজাল  তৈলে,

এত যদি ভেজাল হয়, তাহলে কেমনে চলবে দেশ ?

.

সব চাইতে বড় ভেজাল মানুষেরই মাঝে,

যার জন্য ভেজাল অভিযান আসেনা কোন কাজে।

ভেজালেরই কথা বলে লেখা হবে না শেষ,

আমরা মানুষ ভাল হলে, ভেজাল মুক্ত হবে দেশ।

 

 

 

তাই বাজার না করে মোহাম্মদ আলমগীর লাবু ভাইয়ের লাবু’স সুপার সপ থেকে মাছ, মাংস, চাউল, ডাউল অর্ডার করে নিশ্চিন্তে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় গিয়ে শুনি আমার আগেই বাজার বাসায় চলে আসছে।

বাসায় গিয়ে বসতে না বসতেই হোমমিনিস্টার বললো চলো ঘুরতে যাবো। সত্যি কথা বলতে কি, হোমমিনিস্টারকে আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। সুন্দর লাগার কারণটা জানতে আর বাকি রইল না, Shirin’s Closet    থেকে পাকিস্তানী থ্রি-পিস কিনেছিলাম, সেটাই পড়েছে। তাই এত সুন্দর লাগছে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে রাজি হয়ে গেলাম।

সুন্দরকে আরো সুন্দর করার বায়না ধরলো। চলে গেলাম বনশ্রীতে Honey San আপুর Honey Beauty Parlour   এ । আপুর হাতের জাদুর ছোঁয়ায় নিজের হোমমিনিস্টারকে আর চিনতে পারলাম না। এত সুন্দর তার হাতের কাজ। সত্যিই প্রশংসনীয়। চিন্তা করলাম এভাবে সাড়াক্ষণ ঘুরে রাতে বাসায় গিয়ে হয় তো রান্না নাও করতে পারে। তাই চালাকি করে Priyanka Hamid আপুর নিকট রাতের খাবার অর্ডার করলাম।

সাড়াদিন ঘুরে রাত ৯ টায় বাসায় ফিরলাম। কিছুক্ষন পর খাবার চলে আসলো । সবাই ডিনার করে রাতে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিলাম।

.

       

[যে কেউ তাদের বিজনেস লগো স্পন্সর করতে পারবেন- 01716 216512]

.

.

পর্ব : 03 অচিরেই দেখতে পাবেন। পর্ব : 03 দেখার জন্য অবশ্যই  কমেন্ট করুন এবং এই পোস্টটি শেয়ার করুন। আপনাদের কমেন্টের উপর নির্ভর করেই পর্ব : 03 লিখবো। 

.

[বি.দ্র : সবাই কমেন্ট করে এবং শেয়ার করে উৎসাহ না দিলে, পর্ব : 03 লিখবো না।]

.

.

.

 সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি ,  আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি  আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে।  আল্লাহ হাফেজ।

.

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

 

5 Comments

  1. অসাধারণ লিখেছেন তো ভাই। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এক নিশ্বাসে পঅরে গেলাম

  2. দারুন সুন্দর হইছে ভাইয়া। আমি মুগ্ধ । ধন্যবাদ ভাইয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button