Life Style

ছোট কয়েকটি কৌশলে নিজেকে স্মা’র্ট করে তুলুন

তানজিদা লিজা

আপনি দে’খতে-শুনতে যথেষ্ট ভালো, পোশাক-আশাকও ফ্যাশনের পরেন, তবুও আপনাকে সবাই আনস্মা’র্ট বলে,

কেন?

আপনার সামনে কেউ কিছু বলে না কিন্তু আপনার আড়ালে সবাই হাসাহাসি করে আপনাকে নিয়ে,

কেন?

সবকটি প্রশ্নের জবাব কি জানা,

উত্তর কি হ্যা?

তাহলে জানতে হবে নিজেকে উপস্থাপনের কমতি কোথায়?  চলুন খুঁজি নিজেদের কমতি কোথায় আছে?

স্মা’র্টনেস মানেই সৌন্দর্য বা ট্রেন্ডি পোশাক বা দামী পোশাক নয়। স্মা’র্টনেস অভ্যন্তরীণ মা’নসিক ব্যাপার। আপনি যা, নিজেকে ঠিক সেভাবেই উপস্থাপন করা হলো স্মা’র্টনেস। ঠিক কীভাবে নিজেকে সবার কাছে উপস্থাপন করবেন আসুন নিজে’র মধ্যে কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসি। কিছু ক্ষেত্রে হয়ে উঠুন কৌশলী। খুব সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন স্মা’র্টনেসের অধিকারী।

 

কথা বলুন বুঝে শুনে:

আপনার কি অনেক কথা বলার অভ্যাস?  তাহলে বাড়তি কথা বলা একটু কমিয়ে দিন। যতটুকু প্রয়োজন কথা ঠিক ততটুকু বলার অভ্যাস করুন। কখন, কোথায়, কী বলতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বলুন বুঝে, শুনে এবং গুছিয়ে। আপনি কী বলতে চাইছেন তা যেন আপনার বক্তব্যে পরি’ষ্কার বোঝা যায়।

খাবার খান নিঃশব্দে আস্তে আস্তে:

অনেকের খাবারের সময়, চা পানের সময় শব্দ হয় যা খুবই বিরক্তিকর। নিঃশব্দে খাবার অভ্যাস করুন। খাবার মুখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান, এতে শব্দ হবে না। খাবার সময় যতটা সম্ভব কম কথা বলুন।

পোশাক পডুন রুচিশীল:

হিন্দি ভাষায় একটা শোলক আছে খানা আপকি পাছান্দ পেহেননা পার কি পাছান্দ অর্থাৎ খাওয়া নিজের পছন্দ পরা অন্যের পছন্দ॥ হালফ্যাশনের বা ট্রেন্ডি পোশাক পরা মানেই স্মা’র্ট (smart) হওয়া নয়। আপনাকে পোশাকটা আদতে মানাচ্ছে কি না, সেটাই হলো আ’সল কথা। পোশাক-আশাক যদি ঠিকমতো নির্বাচন না ক’রতে পারেন তাহলে আপনার স্মা’র্টনেস অনেকাংশেই মা’র খেয়ে যাবে। তাই পোশাক পরুন নিজে’র ব্য’ক্তিত্ব অনুযায়ী। হালফ্যাশনের পোশাক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলে বেছে নিন ট্র্যাডিশনাল বা সব সময়েই যেসব পোশাকের চল থাকে, সেই পোশাকগুলো। যেমন শাড়ি, সাধারণ ছাঁটের সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, ফর্মাল শার্ট, প্যান্ট, স্ট্রেইট কাটের জিন্স, পোলো টিশার্ট ইত্যাদি। কী রঙের পোশাক বেছে নেবেন তা বুঝতে না পারলে পরুন হালকা যেকোনো রঙের পোশাক। হালকা রং সবাইকেই মানিয়ে যায়।

খাবার খাওয়ার রীতিনীতি:

খাবার খাওয়ারও কিছু নিয়ম-কানুন আছে সেগুলো শিখে নিন। যেমন চামচ, কাঁটা চামচ, ছুরি ব্যবহারের নিয়ম, ন্যাপকিন ব্যবহারের নিয়ম, কোনটার পরে কী খেতে হয় ইত্যাদি। আপনার খাবার ধ’রণ আপনার স্মা’র্টনেস বাড়িয়ে তুলবে বহু গুণ।

নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ:

সব জায়গাতেই কিছু ন্যূনতম সৌজন্যতা মেনে চলা উচিত। এতে যেমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি স্মা’র্টনেসেরও পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন খুব জো’রে জো’রে কথা বলবেন না। বিশেষ করে ক’র্মক্ষেত্রে। ধুপধাপ পা ফে’লে না হেঁটে নিঃশব্দে হাঁটার চেষ্টা করুন। কারো সাহায্য নেবার পর ধন্যবাদ জা’নানোও কিন্তু সৌজন্যতাবোধের মধ্যে প’ড়ে। কাউকে বির’ক্ত করলে ‘দুঃখিত’ বলুন। এগুলো খুবই ফর্মাল আচরণ মনে হলেও সৌজন্যতাবোধের বহিঃপ্র’কাশও বটে!

হেসে হেসে সুন্দর করে কথা বলুন:

হেসে, সুন্দর করে কথা বলাও স্মা’র্টনেসের পরিচায়ক। তাই বলে কথায় কথায় হো হো করে হাসবেন না যেন! এটাও শোভন নয়। স্মিতহাস্যে কথা বলুন সবার সাথে। মানুষটি যদি বির’ক্তিকরও হয়, আপনার কথা শুনে সে যেন আপনার বির’ক্তিটুকু ধ’রতে না পারে। মোট কথা, আপনার সাথে কথা বলে যেন কারো মনে না হয় আপনি রূঢ় আচরণ করছেন।

ভালো ব্যবহার করুন:

যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে চলাটাই স্মা’র্টনেসের (smartness) অন্যতম পরিচায়ক। আপনার মনের অবস্থা যদি খা’রাপও হয়, ভালো ব্যবহার করুন সবার সাথে। অল্পতেই বির’ক্ত হবেন না বা রেগে যাবেন না। ধৈর্য ধ’রে ধীরস্থির ভাবে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে যান। প্রতিটা সময় ভালো আচরণ আপনাকে গড়ে তুলবে একজন স্মা’র্ট মানুষ হিসেবে।

 

ভালবাসা অবিরাম

তানজিদা লিজা

ময়মনসিংহ থেকে কাজ করছি

জামদানী পন্য

রাজশাহী সিল্ক রাজমা,

মসলা ও অন্যান্য

.

.

.

☑ সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি ,  আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি  আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে।  আল্লাহ হাফেজ।

.

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

 

Model Test :

Health Tips :

Outsourcing/Online Income :

Others Articls :

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button