
প্রতিটি মানুষ তার নিজের একদম ফিট রাখতে চায়। আর ফিট রাখার জন্য অবশ্যই তাকে সুস্থ থাকা জরুরী। সুস্থ থাকার গুরুত্ব যে কতখানি, তা কেবল অসুস্থ হলেই টের পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও ভালো থাকবে না। তাই শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য সচেষ্ট হতে হবে আপনাকেই। আর তার জন্য বাড়তি কিছু করার দরকার নেই। প্রতিদিনের কাজগুলো একটু নিয়ম মেনে করলেই আপনার সুস্থ থাকা ঠেকায় কে! কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
সকালে যা করবেন-
- দিনের শুরুতে প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করা। ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি তার মনকে বা অধ্যাত্মিক শক্তিকে আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে দিবে। যার ফলে দিনের প্রতিটি মুহূর্ত নিজেকে অনেক ফ্রেস লাগবে এমনকি সাড়া দিনের যে কোন কাজ করতে খুব ভালো লাগবে।
- সকালটা উপভোগ করুন । ঘুম থেকে উঠে সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করুন। রাস্তায়, বারান্দায় কিংবা ছাদে বসে সকালে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন। খালি পেটে পানি পান করলে সহজে কোন পেটের রোগও হয় না।। পাখির ডাক শুনুন, ভোরের সূর্যোদয় দেখুন। এতে করে সকালের আলো দেহে ভিটামিন ডি তৈরি করে এবং বাতাস মস্তিষ্ক ও চোখকে সতেজ রাখে। দেখবেন সারাদিনের কাজের জন্য এনার্জি সঞ্চিত হবে আপনার দেহ এবং মনে। যার ফলে দিনের প্রতিটি মুহূর্ত নিজেকে অনেক ফ্রেস লাগবে এমনকি সাড়া দিনের যে কোন কাজ করতে খুব ভালো লাগবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম, হাটাহাটি ও জগিং এর অভ্যাস করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দেহ থাকে সুস্থ। এ জন্য ব্যায়াম করুন । ঘুম থেকে উঠে যদি একটু হালকা ব্যায়াম করে নেন, তাহলে আপনার কাজের পূর্ণশক্তি পাবেন। এজন্য যে খুব কঠিন বা ভারি ব্যায়াম করতে হবে এমন নয়। হালকা ব্যায়াম, একটু মর্নিং ওয়াক কিংবা কয়েকটা যোগ ব্যায়াম প্র্যাকটিস করতে পারেন। ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ব্যায়াম সম্পর্কে আরো ভালো জানতে পারবেন।
- সকালে নাস্তার আগে ২ অথবা ৩ গ্লাস পানি পান করা উচিত। খালি পেটে চা/কফি পান করবেন না একেবারেই। ভারী নাস্তার শেষে চা/কফি পান করুন। খাবার খাওয়ার মাঝে কখনোই পানি পান করবেন না। সকালের নাস্তা খাওয়ার পূর্বে পানি পান করে নিন। এতে খাবার কম খাবেন যা দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। খাওয়ার মাঝে পানি পান করলে পরিপাকক্রিয়াতে বাঁধা আসে এবং হজমে সমস্যা হয়। খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করবেন।
- সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেহের সুস্থতার জন্য। এ জন্য নাশতা করুন ভালোভাবে। কথায় বলে সকালের নাশতা যারা ঠিকভাবে করে না, তাদের মন-মেজাজ সারাদিন খিটখিটে হয়ে থাকে । তাই তাড়াহুড়া না করে সময় নিয়ে সকালের নাশতাটা উপভোগ করুন। খেয়াল রাখবেন, নাশতাটা যেন স্বাস্থ্যকর সুষম ও পুষ্টিকর খাবার হয়। সকালের নাশতা আপনার সারাদিনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।
- প্রতিদিনের অবশ্যই করণীয় কর্মগুলো পরিকল্পনামাফিক লিপিবদ্ধ করুন এবং দিনের বেলায় তা বাস্তবায়ন করুন। সকালে কাজ শুরু করার আগে জরুরি এবং জটিল কাজগুলো বাছাই করুন এবং সেই কাজগুলো আগে শেষ করার চেষ্টা করুন। এতে জরুরি ও জটিল কাজগুলো করতে আপনার ভুল হবে না এবং ঠাণ্ডা মাথায় এসব কাজ শেষ করতে পারবেন। কারণ সকালবেলা মন ও শরীর দুটিই সাধারণত ভালো থাকে। হয়তো প্রথমে সবাই নিয়ম অনুযায়ী করতে পারবেনা কিন্তু যে চেষ্টা করবেন, সে অবশ্যই পারবেন।
- মন ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলুন। এজন্য প্রথমেই সকালটা শুরু করুন শরীর এবং মনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার মাধ্যমে। নিজের কাজের জায়গাটা পরিচ্ছন্ন-পরিচ্ছন্ন করুন। পুরনো কাগজপত্রের জঞ্জাল ঝেড়ে ফেলুন। যে বিষয়গুলো আপনার মনকে কষ্ট দেয় বা খারাপ করে দিচ্ছে সেগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার সকালটা আনন্দময় হয়ে উঠবে।
.
- ভালো লাগা বা অনুপ্রেরণার উৎসগুলো খুঁজে বের করুন। যে লাইনগুলো পড়লে আপনি অনুপ্রাণিত হন, যার কথা আপনাকে উৎসাহ জোগায় দিনের শুরুতে সে লাইনগুলো পড়ূন কিংবা সেই মানুষটার সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলে কাজ শুরু করুন। পরিবারের মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন। কারণ দিনের শুরুটা হয় পরিবার থেকেই। পরিবারের সবার সাথে হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করুন। পিতা-মাতা জীবিত থাকলে তাদের দোয়া নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ শুরু করুন। মহান সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আপনার উপর রহমত করবেন। ইনশা আল্লাহ।
যদি লেখাটি ভালো লাগে, তাহলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন। অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
.
আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল
-
রাতে আকস্মিক মৃত্যুর বা হার্ট এ্যাটাক থেকে মুক্তির উপায়_ smalamgir
-
বিশ্বের সেরা ১০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের তনিমা তাসনিম অনন্যা ( কৃষ্ণগহ্বর গবেষণা )
-
বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল এবং ক্রেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন এর ১০টি কার্যকারী কৌশল _ By smalamgir
-
ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং কি? কেন করবেন? কিভাবে করলে সফল হবেন?
ধন্যবাদ স্যার