Information

বহুরূপী জামাল স্যার | আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট | প্রমাণ সহ দেখুন

Blogger SM ALAMGIR

আমি বিশ্বাস করি, আপনি জামাল উদ্দিন স্যারের বহুরূপী চেহারা দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করেছেন। এমনকি আপনি বাস্তব প্রমাণও দেখতে চান। আপনার ইচ্ছাকে আমি স্বাধুবাদ জানাই। প্রথম থেকে ভালো ভাবে পড়তে থাকুন। আশা করি, সব জানতে পারবেন।

  1. জামাল উদ্দিন স্যার এক দিকে মহৎ হৃদয়ের মানুষ। আমরা অনেক সময় যে ভালো কাজ করে, তাকে ফেরেস্তার সাথে তুলনা করি।
  2. আরেক দিকে জামাল উদ্দিন স্যার কি ধরনের লোক, তা লেখাটি পড়ার পর আপনারাই বলবেন।

 

আপাদত আজ এই দুই দিক নিয়ে বাস্তব প্রমাণ দিবো। সঠিক ভাবে বুঝার জন্য লেখাটি খুব আস্তে আস্তে মনোযোগ সহকালে পড়ুন। তাড়াহুড়া করে পড়লে কিছুই বুঝতে পারবেন না।

 

সহজ পদ্ধতিতে ইংরেজি শিখুন ………………..more read

প্রথমে আসি জামাল স্যারের মহৎ ব্যক্তির রূপে :

বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যক লোক আছে জামাল স্যারের মতো। যারা আছে তাদের থেকে মহৎ হৃদয়বান হলেন জামাল উদ্দিন স্যার। কারণ, তিনি খুব সাবলিব ভাষায় আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো সবাই শিখিয়ে থাকেন। তাও আবার একদম ফ্রিতে। যা আসলে অবিশ্বাস্য। যদিও তার কাজের পারশ্রমিক যদি আমরা টাকায় কনভার্ট করি, তাহলে হয়তো সঠিক এমাউন্ট নির্ধারণ করতে পারবো না।

সকলেই যেন অনলাইন থেকে ভালো ইনকাম করতে পারেন, তার জন্য তিনি প্রতি নিয়ত জুম এ্যাপসের মাধ্যমে ক্লাসের  ভিডিও করে তার ইউটিউব চ্যানেলে  আপলোড করে। যা দেখে দেখে অসংখ্যক বেকার তরুন-তরুনীরা সাবলম্বী হচ্ছে। তিনি শুধু এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি প্রতি শনিবার 2 থেকে 3 ঘন্টা ফ্রি জুমে এসে সরাসরি ফ্রি সাপোর্ট দেন। বলতে গেলে অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো মতো। তার এই উধার মনোভাবের জন্য অনেকেই তাকে ফেরেস্তার সাথে তুলনা করেন।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করবেন ? ……… more read

 

জামাল স্যার আমাদের বাংলাদেশের জন্য আর্শীবাদ ।  আমরা গর্বিত জামাল স্যারের মতো একজন ভালো মানুষ আমরা পেয়েছি। তার জন্য শত শত পরিবার আজ আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। চাকরি হারা অনেক তরুন-তরুনী আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া হাজারও তরুন-তরুনী জামাল স্যারের ভিডিও গুলো অর্থ উপার্জন করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারেরও হাল ধরেছেন। গ্রাম গঞ্জের হাজারও পরিবার জামাল স্যারের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করেন।

জামাল স্যার খুবই দক্ষ জনশক্তি দিয়ে তার স্টুডেন্টদের পরিচালনা করেন। তার টিম মেম্বারের মধ্যে “মবিন স্যার” অন্যতম দক্ষ একজন সাপোর্টার । তিনি নির্ধারিত সময়ে সাপোর্ট দেওয়ার পরেও রাত 2 টা থেকে ভোর 6 টা পর্যন্ত বিনা স্বার্থে সাপোর্ট দেন। যা ইতিহাসে এমন ঘটনা একটিও নেই। এটা দ্বারাই প্রমাণিত হয়, জামাল স্যার দক্ষ একজন শিক্ষক। তার নির্বাচন যথাযথ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্যারের জন্য দোয়া করি।

আনিকা নামের একটি মেয়ের ছবি দিয়ে স্যার একটি ভিডিওর Thumbnail তৈরি করেন, সেটা নিয়ে অনেকে নানা রকম আলোচনা-সামালোচনা শুরু করেন। অবশেষে স্যার নিজে লাইভে এসে তার বিস্তারিত বিবরণ দেন। যা অনেক যুক্তি সংগত। স্যারকে একটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার, আমরা আপনাকে বিবিসির খবরের মতো বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি, আপনি যা দিবেন তা মধ্যে কোন প্রকার অভিনয় থাকবে না। সবটুকু বাস্তব।  সুতরাং ভবিষ্যতে এমন Thumbnail না দেওয়া উদার্থ আহ্বান জানাচ্ছি।

 

অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায় More Read

 

এখন আসি জামাল স্যারের ভিন্ন রূপে :

 

 রূপ- 01 : 

প্রথম কথা হলো জামাল উদ্দিন স্যার যে কথা বলেন তা কতটুকু সত্য। তিনি বলেন- আমি মানুষের উপকারের জন্য সম্পূর্ন ফ্রিতে সার্ভিস বা সাপোর্ট দিয়ে থাকি। তার এই কথাটি কতটা সত্য তা একবার যাচাই করা যাক। আসলেই  সে কি ফ্রিতে কোন সাপোর্ট বা সার্ভিস দেন ?

প্রমাণ :

ইউটিউবার  অনুসারে :  জামাল উদ্দিন স্যার একজন প্রফেশনাল ইউটিউবার। তার কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আর একজন ইউটিউবারের কাজ হলো, তার নিজেস্ব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে গুগল এডসেন্সে বা বিভিন্ন কোম্পানির স্পনসর নিয়ে টাকা ইনকাম করা। এখানে বিভিন্ন ইউটিউবাররা বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করেন। জামাল স্যার তন্মধ্যে একজন। সে আউটসোর্সিং এর ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি করে তার চ্যানেলে আপলোড করে টাকা ইনকাম করেন। আপনারা সকলেই খেয়াল করবেন,  তার প্রতিটি ভিডিওতে গুগল এড আসে আর যেই এড আপনি দেখেন সেটার বিনিময়ে তার একাউন্টে ডলার যোগ হয়।

আপনি যদি তার কাছে কোন বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করেন, তখন তিনি  বার বার বলেন, আপনারা আমার চ্যানেলে কিংবা ইউটিউবে গিয়ে আপনার চাহিদা অনুযায়ী টপিকের সাথে জামাল স্যার লিখে সার্চ করবেন। আমার যে ভিডিও গুলো আসবে সেগুলো দেখবেন।  এটা বলার একটাই কারণ আপনি যত বেশি তার ভিডিও দেখবেন, তার ইনকাম তত বেশি হবে। এ দৃষ্টি কোন থেকে আমরা বলতে পারি জামাল স্যার যে সার্ভিস বা সাপোর্ট দেন তা টাকা বিনিময়ে দেন। এবার বলুন- কথাটা কত যুক্তিসংগত????

 

পুরুষের বড় স্তন ছোট করার উপায় More Read

 

রূপ-02 :

জামাল স্যার বলেন, প্রতিটি পেইড স্টুডেন্ট প্রতিদিন 14 ঘন্টা করে সাপোর্ট পায় । এমন কি তিনি নিজেও প্রতিদিন 2 ঘন্টা করে সাপোর্ট দেন। এসব কথা বিশ্বাস করে অনেক স্টুডেন্ট তার কাছে এডমিশন নেয় এবং প্রতিনিয়ত এডমিশন নিচ্ছে। আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। আমিও তার এসব  কথা বিশ্বাস করে  এডমিনশন হয়েছিলাম। এবার তার সাপোর্টের আসল তথ্যটা দেখুন।

প্রমাণ :

সকাল 10 টায় সাপোর্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদিন 10 টা থেকে সাপোর্ট শুরু হয় না। কিছু কিছু দিন খুবই দেরিতে সাপোর্ট শুরু হয়। আমি যতদিন ক্লাশ করেছি, তন্মধ্যে আমি দেখেছি  জামাল স্যারের প্রতিটি ক্লাশে 150/200+ পেইড স্টুডেন্ট থাকে। নরমালি সাপোর্টের কথা বলি, অন্যান্য সাপোর্টের সময় এত বেশি স্টুডেন্ট থাকে না । ধরুন 20 জন থেকে 70/80 জন।  সাপোর্ট টিমের অধিকাংশ কাজ হলো ফাইবারের প্রোফাইল চেক করা, গিগ চেক করা। এই দুটো কাজই তারা বেশি সময় নিয়ে করেন। আর অন্যান্য বিষয়ে  খুব কমই সাপোর্ট দেন।

বলে দেওয়া হয়, প্রতি জন পেইড স্টুডেন্টকে 5 থেকে 10 মিনিট করে সাপোর্ট দিতে হবে। অধিকাংশ স্টুডেন্টের 10 মিনিটেও হয় না। আরো বেশি লাগে । যদি আমি 10 মিনিট করে ধরি, তাহলে  এক জন সাপোর্টার 2 ঘন্টায়  10 থেকে 12 জনকে সাপোর্ট দিতে পারবেন। এভারেজে 10 জন করে ধরি, তাতে হিসাব করতে সুবিধা হবে।  এখন কথা হলো হলো, বাকিরা তো সাপোর্ট পেলো না। এখন বলতে পারেন- পরবর্তী সাপোর্টারের সাপোর্ট নিবে। তাহলে এবার হিসাবে আসি,  জামাল উদ্দিন স্যার বাদে সাপোর্ট টিম মেম্বার ৬ জন । তাহলে আমরা বলতে পারি  ৬*10 = 60 জন। তার মানে জামাল স্যারের সাপোর্ট টিম মেম্বার প্রতিদিন 60 জনকে সাপোর্ট দিতে পারেন। এবার জামাল স্যার নিজেই বলুক- তার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কত ?

 

সফলতার গোপন পাঁচটি টিপস more read

 

এর মাঝে অনেক স্টুডেন্ট আছে, যারা সাপোর্ট টিমের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি করার জন্য প্রত্যেক সাপোর্ট টিমে জয়েন করেন, এবং 10 থেকে 15 মিনিট করে সময় নষ্ট করেন। তাহলে সঠিক ভাবে হিসাব করলে পাওয়া যাবে প্রতিদিন 50 জনেরও কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী সাপোর্ট পায়। বাকি স্টুডেন্টরা সাপোর্ট পায়না। তাহলে একটি পেইড স্টুডেন্ট কিভাবে 14 ঘন্টা সাপোর্ট পেল ? আমার মাথায় আসেনা।

এবার আসি জামাল স্যারের সাপোর্ট। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা 150 থেকে 200+ । সময় মাত্র 2 ঘন্টা । এবার বলুন সে কয়জনকে সাপোর্ট দিতে পারবে। সে নিজেও জানে সব স্টুডেন্টদের সাপোর্ট দেওয়া তার সম্ভব না। এ জন্য তিনি সাপোর্টে এসেই প্রথমে বলেন- “আমি কি আছি, যদি সব কিছু ক্লিয়ার থাকে তাহলে ১ আঙ্গুল আর যদি ক্লিয়ার না থাকে তাহলে 2 আঙ্গুল দেখান।” আপনি জুমে বা ক্লাসে যে কোন সময় বা এক ক্লিকে জয়েন করার অনুমতি আছি, কিন্তু বলার বলার অনুমতি নেই। আপনাকে বোবা হয়ে থাকতে হবে। যদি জামাল স্যার আপনাকে দয়া করে অনুমতি দেন, তাহলে কথা বলতে পারবেন। একটু ভালো করে খেয়াল করুন- আপনি কিন্তু পেইড স্টুডেন্ট টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন, তবুও আপনার কোন বাক-স্বাধীনতা নেই। অনুমতি দিলেই, তবে বলতে পারবেন।

 

ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করবেন ? more read

 

যাই হোক- তার পর জামাল স্যার বলেন- যারা যারা কাজ পেয়েছেন, তারা স্কিন শেয়ার করুন। তারা স্কিন শেয়ার করে, তখন সে তার রেকর্ড অন করে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ সময় বিস্তারিত আলোচনা শুরু করেন । যাতে একটি বড় ভিডিও তার ইউটিউবে আপলোড করা যায়।  এভাবে কয়েক জনের সাথে কথা বলে দুই ঘন্টা পার করে দেন। আর যারা কাজ পায়না, তারা কেন কাজ পেল না, তার কোন খোঁজ খবর তিনি নেন না। যারা কাজ পায়না, তারা শুধু হা করে বসে বসে এসব নীলাখেলা দেখেন। (যদিও দুই-এক জন্য ব্যতিক্রম আছে)।

দু’ঘন্টা পর জামাল স্যার বলেন- “ফারহান কি আছেন  ? ” । ফারহান স্যার অবলাপ্রাণী, না থেকে উপায় নাই। করুণ কুকিলা সুরে বলেন- “আছি স্যার”। তখন ফারহান স্যারকে হোস্ট দিয়ে জামাল স্যার বিদায় নিয়ে চলে যান। বার আপনারাই বলুন জামাল স্যার কোন ধরনের লোক ? ????। আশা করি, আপনাদের মূল্যবান কথাটি কমেন্ট করবেন।

.

☑ সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি ,  আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি  আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে।  আল্লাহ হাফেজ।

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

 

Spoken English Course :

Model Test :

Health Tips :

Outsourcing/Online Income :

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button