Life Style

মৃত্যু যন্ত্রণা যখন দুনিয়ার যন্ত্রণার বেশি হয়, তখন মানুষ আত্মহত্যা করে

SM ALAMGIR

বর্তমান সময়ের মানুষ গুলো কেমন জানি ছোট হৃদয় নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, ছোট ছোট ভয়, আপদ-বিপদ কিংবা কোন হতাশা সামনে আসলেই ভেঙ্গে পড়ে। আজকাল তো আত্মহত্যা যেনো একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু হলেই মানুষ মৃত্যুটাকে বেছে নিচ্ছে। অনেকেই বলে “মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে যখন দুনিয়ার যন্ত্রণা বেশি হয়ে দাঁড়ায়, তখন মানুষ আত্মহত্যা করে”।কিন্তু আমি এটা মানতে এতোটুকুও রাজি না। কারন দুনিয়ায় নিজেকে ভালো রাখার হাজারটা পথ আছে,যা আপনারা খুঁজে দেখেন না।
.
আপনারা নিজেরাই যেখানে নিজেকে ভালোবাসেন না,অবহেলা করেন; সেখানে অন্যের ভালোবাসা,কেয়ার পাওয়ার স্বপ্ন দেখা বিলাসিতা। আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, আল্লাহ্ কে ভরসা করুন। কারো জীবনই ফুল দিয়ে সাজানো থাকে না ভাই। সমস্যা,কষ্ট,অবহেলা সবার জীবনে আছে- কেউ আল্লাহ্ কে ভরসা করে, নিজের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যায় আর কেউ হার মেনে পেছনে পড়ে যায়। এটাই পার্থক্য  জীবন অনেক সুন্দর হবে, যদি সুন্দর করে দেখতে পারেন। বাইরের মানুষকে না, পরিবারে মানুষকে প্রায়োরিটি দিন; দেখবেন ডিপ্রেশন অনেকটাই কমে যাবে। আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যা ভালো না,তা ছুঁড়ে ফেলুন। যা করতে ভালো লাগে তাই করুন, শুধু খেয়াল রাখবেন আপনার ভালোলাগা যেনো কারো জন্য ক্ষতির কারন না হয়ে দাঁড়ায়।
     
.
ফেসবুক আইডিতে বেশ কয়েকজন আছে” যারা ডিপ্রেসড ছিলো,জীবন থেকে মূল্যবান কিছু হারিয়ে মরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। আশেপাশে কোনো বন্ধু ছিলো না তাদের বুঝানোর জন্য, কথা বলার জন্য।একটু শান্তনা পেতে, কষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য তারা ছটফট করতো কিন্ত তারা আপন কাউকে পাশে পায় নি”- খুব কাছে থেকে তাদের দেখেছি আমি। অথচ এই মানুষগুলোই মরে গেলে তার নিকটতম আত্নীয় আর বন্ধুগুলো পোষ্ট করতো – একবার শেয়ার করতে পারতিস, কেনো কিছু না বলে চলে গেলি,আমরা তো তোর পাশেই ছিলাম ব্লা ব্লা।
.
         
.
.
ভাই বেঁচে থাকতে কাছের মানুষগুলোর কদর বুঝেন। তাদের পাশে থাকেন, ভালোবাসেন,বুঝান,আগলে রাখেন। আপনার একটু মূল্যবান সময় যদি কারো জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে,তবে সমস্যা কি??? মরে যাওয়ার পর পোস্ট, কমেন্ট করে কি বুঝান আপনারা??
.
বিদ্রঃ “কেউ একজন পাশে থাকলে ভালো হতো”- এর মানে শুধু বফ/গফ চাওয়াকে বুঝায় নারে ভাই। এর মানে এমন একজনকে বুঝায়, যার কাছে মন খুলে ভালো লাগা-খারাপ লাগাগুলো শেয়ার করা যায়। সেটা একজন ভালো ফ্রেন্ড ও হতে পারে। সবসময় সব জায়গায় স্বার্থ খুঁজবেন না। কখনো কখনো নিঃস্বার্থভাবে কারো জন্য কিছু করুন, দেখবেন ভালো লাগবে ।

—————–

—————–
.

.

.

☑ সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি ,  আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি  আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।  আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে।  আল্লাহ হাফেজ।

.

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

 

Model Test :

Health Tips :

Outsourcing/Online Income :

Others Articls :

One Comment

  1. যুক্তিযুক্ত লেখা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনেক বেশি উৎসাহ পাই আপনার প্রতিটি লেখা পরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button