Health Tips

Breast Implant / Augmentation Surgery in Dhaka, Bangladesh

মেয়েদের ঝুলে যাওয়া স্তন বা ছোট স্তনকে ফিট ও বড় করা

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট

জনপ্রিয় কসমেটিক সার্জারিগুলোর একটি হলো স্তনের আকার বড় করা। বর্তমান সময়ে  ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট হলো মেয়েদের ঝুলে যাওয়া স্তন বা ছোট স্তনকে ফিট ও বড় করার সার্জারি। উন্নত দেশের  ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারী করানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মেয়েরা যদিও প্রকাশ করে, তবে এর চাহিদা বাংলাদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি মাসেই বহু বাংলাদেশি নারীরা ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারী করাচ্ছে।

 

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট কতটা নিরাপদ ?

এর উত্তর নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর।

১৯ শতকের শেষের দিক থেকে স্তনের আকার বাড়ানোর ইতিহাস শুরু। এ জন্য ব্যবহার করতো তেল, স্পঞ্জ এবং এমনকি কাঁচের গোলক । এগুলো ইনজেকশনের মাধ্যমে স্তনে প্রবেশ করানো হতো। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬০ সালে প্রথম সিলিকন ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার হয়। এটাই লাখ লাখ নারীর জন্য ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের সুযোগ তৈরি করে দেয়।

 

এখন আরও অনেক ধরণের প্রতিস্থাপন হয়ে থাকে। ইমপ্ল্যান্টস এখন করা হয় সাধারণত জেনারেল অ্যানাসথেটিকের মাধ্যমে। স্তনের কাছাকাছি জায়গায় 1.5/2.00 ইঞ্চি কাটা হয়। পরে ইমপ্ল্যান্টটি স্তনের ভেতরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তার পর কসমেটিক সেলার করে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিন ভাগের এক ভাগ রোগীর প্রথম সার্জারীর দশ বছরের মধ্যেই আরেকটি সার্জারী দরকার হয় (বিবিসি বাংলা প্রতিবেদন)।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়

এই সার্জারীর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন :-

  • স্তনে ব্যথা
  • ক্ষত তৈরি
  • এমনকি ফেটেও যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ হলো, স্তন প্রতিস্থাপন জীবনভর টিকে থাকা বিরল। ভালো মানের ইমপ্ল্যান্ট না হলে এগুলো সরিয়ে ফেলতে হয় বা নতুন করে করতে হয়।

সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, নির্দিষ্ট ধরণের ইমপ্ল্যান্টের সাথে লিমফোমা নামের একটি বিরল ক্যান্সার হবার সম্পর্ক রয়েছে। যদিও ক্যান্সার যে কোন কারণে হতে পারে। আবার যে ইমপ্ল্যান্ট করলে ক্যান্সার হবে এমনটা নয়। এ ধরনের তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে শুনা যায়। এ জন্য কিছু ইমপ্ল্যান্টস একারণে বাজার থেকে সরিয়েও নেয়া হয়েছে।

একজন সিলিকন উৎপাদক ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড সিলিকন ব্যবহার করার পর বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩ লাখ নারীর ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এতে নারীরাও কিছু লক্ষণের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেমন : ক্লান্তি বোধ ও বিষন্নতার মতো লক্ষণ। এ জন্য কিছু ইমপ্ল্যান্টস একারণে বাজার থেকে সরিয়েও নেয়া হয়েছে।

আবার লাখ লাখ নারী তাদের ইমপ্ল্যান্ট নিয়ে সন্তুষ্ট। তারা ফিরে পেয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবন। মুক্তি পেয়েছে ডিপ্রেশন নামক ভয়ানক জীবন থেকে। অনেক আনন্দে জীবন যাপন করছে।

.

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি খরচ

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি নির্দিষ্ট ভাবে খরচ বলা মুশকিল। কারণ এটা একেক জনের খরচ একেক রকম হয়। খরচ টা কয়টা ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

  • টেস্ট/পরীক্ষা  :   
  • হাসপাতাল খরচ : 
  • টিম চার্জ :
  • মেডিসিন :

স্বাধারনত  এই ধরনের অপারেশন 90,000 টাকা থেকে 120,000 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কম-বেশি হতে পারে ( কম-বেশি হতে পারে )।

.

বিশেষ সতর্কতা :

এই সার্জারী অনেকটা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকরণ। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের ডাক্তার দ্বারা সার্জারী করানো উচিত।

ভালো রেজাল্টের জন্য আপনার কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:

  • অবশ্যই কসমেটিক সার্জান হতে হবে।
  • সার্জন সিনিয়র প্রফেসর হলে ভালো।
  • সার্জন বিভাগীয় প্রধান বা সাবেক বিভাগীয় প্রধান হলে সব থেকে ভালো

 

সার্জারির দিন নিম্ন বর্ণিত পরীক্ষা থেকে  দুই/তিনটি পরীক্ষা করা লাগতে পারে, 

  1. BT
  2. CT
  3. CBC
  4. Blood Group
  5. X-Ray

কোন ইমপ্ল্যান্ট ভালো

আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে হবে। কম দামের চায়না ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে হংকং, তাইওয়ান, ব্রাজিলিয়ান, আমেরিকান চায়না এছাড়া ভালো মানের অনেক ইমপ্ল্যাট আছে। সেই সব ভালো মানের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা উত্তম।

 

ইমপ্ল্যান্টের দাম কেমন :

ইমপ্ল্যান্ট বিভিন্ন দামের আছে । বাংলাদেশে সাধারণত  ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে  ৫০ হাজার টাকা দামের ইমপ্ল্যান্ট গুলো ব্যবহার করা হয়।

 

কিভাবে সার্জারি করা হয়-

প্রথমে জেনারেল এনেস্থেশিয়া বা অজ্ঞান করা হয়। তার পর স্তনে একদম নিচের দিকে দুই থেকে আড়াই কেটে ইমপ্লান্ট বসানো জায়গা বানানো হয়। এর পর খুব সতর্কতার সহিত ইমপ্ল্যান্টটি ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। এর পর ভিতর থেকে ভিকরিল সুতা দিয়ে কসমেটিক সেলাই দেওয়া হয়। যা কখন কাটতে হয় না। শরিরের সাথে মিশে যায়। ভিতরের কসমেটিক সেলাকে কে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য উপরে লায়লন সুতা দিয়ে সেলাই দেওয়া হয়। এই সেলাই টি 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে কেটে ফেলতে হয়।

সার্জারির সময় নিচের দিকে একটি ড্রেন বা নল লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ভিতরের অবাঞ্চিত রক্তগুলো বেরিয়ে আসতে পারে। যার ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 3 থেকে 5 দিনের মধ্যে আর রক্ত আসে না । তবে অনেকের 3 দিনের মধ্যেই সব সমাধান হয়ে যায়। যখন আর রক্ত আসেনা, তখন ড্রেন বা নল বের করে একটি ড্রেসিং করতে হয়।

সার্জারির ৭/১০ দিন পর শুকানোর উপর নির্ভর করে অল্টারনেটিভ করে সেলাই কাটা হয়। মানে একটি রেখে পরের টা কাটা হয়, তাতে ফাঁক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং সেই দিনই আরেকটি ড্রেসিং করলে ভালো হয়। ১০/১২ দিন পর সমস্ত সেলাই কেটে দেওয়া হয়।

অজ্ঞান করে এই সার্জারি করলে অপারেশন থিয়েটারে বা ওটিতে  ৬,৫০০/৭,০০০ টাকার (কম-বেশি হতে পারে) মত মেডিসিন লাগে। 

সার্জারির প্রথম দিন থেকে সাত দিন এ্যান্টিবাইক ইনজেশকশন দু’বার (সকাল এবং বিকাল) নিতে হয়। এ্যান্টিবাইকের দাম ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা  বিভিন্ন দামের আছে। আপনার সামর্থ অনুযায়ী এ্যান্টিবাইক ইনজেশকশন নিতে হবে।

কয়টি ড্রেসিং করতে হবে ?

সার্জারির ৩ থেকে ৫ দিনের  মধ্যে একটি ড্রেসিং  এবং ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটি ড্রেসিং করতে হয়। বিশেষ প্রয়োজনে আরো একটি ড্রেসিং বেশি লাগতে পারে। আপনাকে ধরে নিতে হবে, ২ অথবা ৩ টি ড্রেসিং করতে হবে। (ড্রেসিং চার্জ একেক হাসপাতালে একেক ধরনের হয়ে থাকে । প্রতি ড্রেসিং ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ড্রেসিং চার্জ লাগতে পারে। তবে অধিকাংশ হাসপাতলে এই অপারেশনের ড্রেসিং চার্জ ৫০০ টাকা ধরে থাকে।

[ বি.দ্র:  ড্রেন বা নল খোলার দিন অবশ্যই একটি ড্রেসিং করে নিবেন এবং সেলাই কাটার দিন আরো একটি ড্রেসিং করে নিবেন। ]

 

অপারেশনের ভিডিও লিংক-

.

সার্জারীর করা পর যা করবেন

  • অপারেশনের পর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ৭ দিন খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য বা ফল খেলে হবে।
  • অপারেশনটা যদি ছোট, তবুও ৩ সপ্তাহ সাবধানে থাকতে হবে।
  • যাতে ফেটে না যায়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
  • কয়েক মাস কোন প্রকার চাপ দেওয়া যাবে না।

 

কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তার প্রয়োজনে  হালকা সার্জারীর মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করে দিবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই সার্জারী রিকভারি সময় 90/160 দিন হয়ে থাকে। ভালো রেজাল্টের জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রত্যেক ডাক্তারের ভালো-খারাপ রেজাল্ট হয়ে থাকে। ডাক্তাররা সব সময় ভালো টা সবার সামনে ফোকাস করে। খারাপ রেজাল্টের কথা কেউ বলে না।  তবে খারাপ রেজাল্ট খুব কমই হয়। এটা অনেকটা আপনার ভাগ্য।

 

আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য :

  • সার্জারির করার সিদ্ধান্ত আপনি দিবেন এবং  ডাক্তার  অপারেশন  করবেন।  হাতের মাধ্যমে এই অপারেশন টা করা হয় সুতরাং অপারেশন ভালো বা মন্দ যে কোনটাই হতেই পারে। তবে ডাক্তার কখনো নিজের সুনাম নষ্ট করার জন্য মন্দ ভাবে সার্জারি করবেন না। অনাকাঙ্খিত কারণে কাঙ্খিত রেজাল্ট নাও হতে পারে। তবে  ডাক্তার যেভাবে বলবে ঠিক সেই ভাবেই  মেনে চলতে হবে।
  •  সার্জারির পর যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তার এর নিকট আসতে হবে এবং ডাক্তার  সমস্যা সমাধান করে দিবেন এক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা লাগলে, আমি অবশ্যই সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
  •  অপারেশনে রেজাল্ট আসতে 90/160 দিন  সময় লাগে । সুতরাং সেই পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং এর আগে কোন সমস্যা মনে হলে ডাক্তার কে জানাতে হবে। ডাক্তার যে ভাবে চলতে বলবে, সেই ভাবে চলতে হবে । অহেতুক কোন প্রকার টেনশন করা যাবে না।
  • হাতের মাধ্যমে এই অপারেশন টা করা হয় সুতরাং সমস্যা হতেই পারে, তাই অপারেশন এর পরে কোন সমস্যা হলে এর ফুল মেডিক্যাল সাপোর্ট  বা সমাধান  ডাক্তার দিবেন। আপনার যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাকে বলবেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।

 

  • ভর্তির আগে কোন প্রকার টাকা এডভান্স করতে হয় না। যেদিন অপারেশন হবে, সেই দিন হাসপাতালে ভর্তির সময় রিসিপশনে টাকা জমা দিয়ে রিসিভ নিবেন। হাসপাতালের রিসিপশন ছাড়া অন্য কোথাও বা কারো কাছে টাকা লেনদেন করবেন না। রিসিপশনের রিসিভ ছাড়া যদি লেনদেন করেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হলে, আমাকে দায়ি করতে পারবেন না।  (বি.দ্র : ইমপ্ল্যান্টের জন্য ডাক্তার যদি আগে কিছু টাকা এডভান্স করতে বলে, সেক্ষেত্রে এডভান্স করাই উত্তম । কারণ এতে ডাক্তার আপনার অপারেশন নিশ্চিত বলে মনে করবেন)। 
..
  •  200+ পেসেন্টের অপারেশনের বাস্তব নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কথা গুলো বললাম।
.
  • জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।  কোন প্রকার সমস্যা হলে, আমাকে দায়ি বা দোষারূপ করতে পারবেন না। আপনার যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাকে বলবেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
.
.

ডাক্তার এর পরিচয়-

প্রফেসর ডা. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ

সাবেক পরিচালক

ইয়েল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোসার্জিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট
যুক্তরাষ্ট (USA)।

সাবেক বিভাগীয় প্রধান

বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
ঢাকা, বাংলাদেশ।
.
.

উপরোক্ত বিষয় গুলো বিবেচনা করে যদি  চলতে রাজি থাকেন, তাহলে  আপনি  আমার সাথে যোগাযোগ করবেন । আমি আপনার অপারেশনের সমস্ত বিষয়ে সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।

 

যদি কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় বা সব কিছু জানার পর যদি আপনি ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা চান তাহলে নিম্নে নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারে।

.

.

>>যোগাযোগ <<

মো: আলমগীর হোসাইন

Mobile : 01716 216512 (Imo/what’s up) 

Email : alamgir25790@gmail.com

.

.

এছাড়াও ওনি যে যে রোগের চিকিৎসা প্রধান করে থাকেন-

.

.

.

.

.

আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল

 

Spoken English Course :

Model Test :

Health Tips :

Outsourcing/Online Income :

Others Articls :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!