হাসির কোন বিষয় নয় বরং পুরুষের স্তন স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হয়ে যাওয়া একটা সমস্যা। চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলা হয় ‘গাইনেকোমাস্টিয়া। যার এই সমস্যা নেই তার কাছে বিষয়টা হাস্যকর মনে হলেও যার সমস্যাটি আছে তার জন্য এটি বিব্রতকর। কারণ এই ধরনের পেসেন্ট গভীর ডিপ্রেসনে ভোগে।
গাইনোকোমাস্টিয়ার প্রধান লক্ষণটি হলো পুরুষের অস্বাভাবিক বর্ধিত স্তন। বর্ধিত স্তন সাধারণত উভয় স্তনেই ঘটতে পারে। তবে এটি কেবল একটি স্তনেও হতে পারে। স্তন বড় হলেও তাতে সাধারণত ব্যথা দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু লোকের কিছুটা ব্যাথা অনুভূতি হয়।
গাইনোকোমাস্টিয়া হওয়ার কারণ সমূহ
সাধারণ গাইনেকোমাস্টিয়ার কারণগুলো নিয়ে এখনো অনেক সংশয় রয়েছে। যদিও সাধারণভাবে এটাকে সেক্স হরমোনের বৈষম্যকে এর জন্য দায়ী করা হয়। স্তন টিস্যুর বৃদ্ধির কারণেও স্তন বড় হতে পারে। অনেক সময় স্তনে অতিরিক্ত চর্বি জমলে স্তন বড় দেখায়, তবে এটা গাইনেকোমাস্টিয়া নয়। গাইনেকোমাস্টিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষের শক্ত স্তন টিস্যু গঠিত হয়। এ স্তন টিস্যু সাধারণত দেড় ইঞ্চি ছ্টো হয় এবং সরাসরি এটা স্তনবৃন্তের নিচে অবস্থান করে। গানেকামাস্টিয়া একপাশে এবং দু’পাশেই হতে পারে। এ অবস্থা স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
গাইনেকোমাস্টিয়া হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে । এস্ট্রোজেন হরমোন যা মহিলা চরিত্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে যেমন স্তনের বৃদ্ধি। এদিকে, টেস্টোস্টেরন হরমোন যা পুরুষ চরিত্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে যেমন শরীরে পেশী বৃদ্ধি করে। মহিলারা হরমোন টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে এবং পুরুষরা হরমোন ইস্ট্রোজেন উৎপাদন করে। তবে ভিন্ন অনুপাতে। গাইনিকোমাস্টিয়া হয় যখন পুরুষদের মধ্যে হরমোন ইস্ট্রোজেন বা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস পায়।
প্রাকৃতিক ভাবেও গাইনোকোমাস্টিয়া নির্দিষ্ট সময়ে দেখা দিতে পারে :-
- গর্ভকালিন অবস্থায়: একটি নবজাতক শিশু গর্ভের বিকাশের সময় তার মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত হরমোন ইস্ট্রোজেন দ্বারা প্রভাবিত হয়। অর্ধেকেরও বেশি ছেলে শিশু বর্ধিত স্তন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তবে জন্মের পরে ২ / ৩ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় স্তন ফিরে আসে। এই সময় কম-বেশি হতে পারে।
- বয়ঃসন্ধিকাল: বয়ঃসন্ধির সময় হরমোনের মাত্রা পরিবর্তিত হয় । যার কারণে স্তনগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে সাধারণত বয়ঃসন্ধির পরে ৬ মাস থেকে ২/৩ বছর পরে স্বাভাবিক ভাবে স্তনের সাইজে ফিরে আসে।
- বার্ধ্যক : অনেকের আবার ৪৫ থেকে ৮০ বছর বয়সের পুরুষদের মাঝে মাঝে স্তনের বর্ধন ঘটে। গাইনোকোমাস্টিয়া সেই বয়সেও হতে পারে। তবে সেই সময়ের মধ্যে ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের গাইনেকোমাস্টিয়া হয়ে থাকে।
- বিভিন্ন ঔষধ সেবন : বিভিন্ন ঔষধ সেবনের ফলেও গাইনোকোস্টিয়া হতে পারেন । যেমন: হৃদরোগের জন্য ওষুধ, প্রতিষেধক ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মেট্রোনিডাজল ইত্যাদি।
গাইনেকোমাস্টিয়া সমস্যা সমাধান করার কয়েকটি প্রাকৃতিক পন্থা দেওয়া হল।
- হরমোন পরীক্ষা : গাইনেকোমাস্টিয়া সমস্যা সমাধানের জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো সব থেকে বেশি জরুরি।
- খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শরীরের ওজনের উপর কতটা প্রভাব ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কাজে প্রথম পদক্ষেপ হবে লক্ষ্যস্থির করা এবং প্রতিদিন সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাওয়া। অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করেন, তাই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা : ভারোত্তলন প্রশিক্ষণ হতে পারে এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যায়াম। কারণ এই পদ্ধতিতে অনেকগুলো মাংসেপেশি একসঙ্গে প্রভাবিত হয়। এমন ব্যায়ামের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো বুকডন দেওয়া। বুকডন দেওয়ার সময় হাত, পিঠ, ঘাড় এবং মূল শরীরের উপর চাপ পড়ে। এই ব্যায়ামের সময় হাত যত ছড়ানো থাকবে, বুকের পেশির উপর ততই চাপ পড়বে। এতে দ্রুত সমাধান পাবেন।
.
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
অপারেশন / সার্জারী :
- লাইপোসাকশন
- গ্ল্যান্ড এক্সিশন অর্থাৎ স্তন টিস্যু কেটে ফেলে দেয়া
- স্কিন স্কাল্পচার
- রিডাকশান ম্যামোপ্লাস্টি ইত্যাদি।
.
গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারী দুই ভাবে করা যায় :-
- কসমেটিক সার্জারী (সর্বোত্তম পন্থা)।
- জেনারেল সার্জারী।
কসমেটিক সার্জারী :
গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারীর জন্য সব থেকে ভালো সার্জারী হলো কসমেটিক সার্জারী। কসমেটিক সার্জারী করলে, সেলাইয়ের দাগ আস্তে আস্তে গায়ের ত্বকের সাথে মিশে যায়। যদিও খরচ একটু বেশি হয় । খরচ টা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করে নিতে হয়। খরচ অধিকাংশ সময় সাইজের বা গ্রেডের উপর নির্ভর করে। গ্রেড-1 থেকে গ্রেড-4 পর্যন্ত হয়ে থাকে। অনেকের আবার বিগ সাইজেরও হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত কসমেটিক সার্জারী 25 হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারী করা হয়ে থাকে।
.
কসমেটিক সার্জারির পরের ছবি। দাগ বেশি বুঝা যায় না। অনেকটা মিশে যায়।
.
জেনারেল সার্জারী
জেনারেল সার্জারীর মাধ্যমেও গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারী করা যায়। এক্ষেত্রে সেলাইয়ের দাগ মোটা আকারে দেখা যাবে। এই সার্জারী খরচ তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত জেনারেল সার্জারী 10 হাজার টাকা থেকে 20 হাজার টাকার মধ্যে গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারী করা হয়ে থাকে।
জেনারেল সার্জারির পরের ছবি । জেনারেল সার্জারি করলে এরকম দাগ দেখা যাবে।
.
এই অপারেশন সম্পূর্ণ অজ্ঞান কিংবা লোকাল এনেস্থেশিয়া দিয়ে করা হয়। এটা অনেকটা স্তনের সাইজ, ডাক্তার এবং পেসেন্টের উপর নির্ভর করে। এটা একান্ত আলোচনার সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই ধরনের অপারেশন 2 ঘন্টা থেকে 5/6 ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে। (সময় অনেকটা সাইজের উপর নির্ভর করে)।
সার্জারির দিন নিম্ন বর্ণিত পরীক্ষা থেকে দুই/তিনটি পরীক্ষা করা লাগতে পারে,
- BT
- CT
- CBC
- Blood Group
- X-Ray
.
.
কিভাবে সার্জারি করা হয়-
প্রথমে লোকাল এনেস্থেশিয়া (অবস) কিংবা অজ্ঞান করা হয়। তারপর চর্বি গলানোর মেডিসিন দেওয়া হয়। এর পর 30 মিনিট অপেক্ষা করা হয়। তারপর লাইপোসাকশন শুরু করা হয়। দীর্ঘক্ষন সময় লাইপোসাকশন করা হয়। বড়ি Shape এ চলে আসলে, নিপুলের কালো অংশের কিনারায় 1 ইঞ্চির মতো কেটে টিস্যু বের করা হয়।
সম্পূর্ণ টিস্যু বের করার পর, ভিতর থেকে ভিকরিল সুতা দিয়ে কসমেটিক সেলাই দেওয়া হয়। যা কখন কাটতে হয় না। শরিরের সাথে মিশে যায়। ভিতরের কসমেটিক সেলাকে কে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য উপরে লায়লন সুতা দিয়ে সেলাই দেওয়া হয়। এই সেলাই টি 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে কেটে ফেলতে হয়।
সার্জারির সময় নিচের দিকে একটি ড্রেন বা নল লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ভিতরের অবাঞ্চিত রক্তগুলো বেরিয়ে আসতে পারে। যার ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 2 থেকে 5 দিনের মধ্যে আর রক্ত আসে না । তবে অনেকের 3 দিনের মধ্যেই সব সমাধান হয়ে যায়। যখন আর রক্ত আসেনা, তখন ড্রেন বা নল বের করে একটি ড্রেসিং করতে হয়।
সার্জারির ৭ দিন পর শুকানোর উপর নির্ভর করে অল্টারনেটিভ করে সেলাই কাটা হয়। মানে একটি রেখে পরের টা কাটা হয়, তাতে ফাঁক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সেই দিনই আরেকটি ড্রেসিং করলে ভালো হয়। ১০ দিন পর সমস্ত সেলাই কেটে দেওয়া হয়।
অজ্ঞান করে এই সার্জারি করলে অপারেশন থিয়েটারে বা ওটিতে ৩,৫০০/৪,০০০ টাকার (কম-বেশি হতে পারে) মত মেডিসিন লাগে। এবং লোকাল এনেস্থেশিয়া দিয়ে এই সার্জারি করলে অপারেশন থিয়েটারে বা ওটিতে ২,৫০০/৩,০০০ টাকার (কম-বেশি হতে পারে) মত মেডিসিন লাগে।
সার্জারির প্রথম দিন থেকে সাত দিন এ্যান্টিবাইক ইনজেশকশন দু’বার (সকাল এবং বিকাল) নিতে হয়। এ্যান্টিবাইকের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা বিভিন্ন দামের আছে। আপনার সামর্থ অনুযায়ী এ্যান্টিবাইক ইনজেশকশন নিতে হবে।
.
সার্জারির ১০ দিন পরের ছবি।
.
কয়টি ড্রেসিং করতে হবে ?
সার্জারির ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে একটি ড্রেসিং এবং ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটি ড্রেসিং করতে হয়। বিশেষ প্রয়োজনে আরো একটি ড্রেসিং বেশি লাগতে পারে। আপনাকে ধরে নিতে হবে, ২ অথবা ৩ টি ড্রেসিং করতে হবে। (ড্রেসিং চার্জ একেক হাসপাতালে একেক ধরনের হয়ে থাকে । প্রতি ড্রেসিং ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ড্রেসিং চার্জ লাগতে পারে। তবে অধিকাংশ হাসপাতলে এই অপারেশনের ড্রেসিং চার্জ ৫০০ টাকা ধরে থাকে।
[ বি.দ্র: ড্রেন বা নল খোলার দিন অবশ্যই একটি ড্রেসিং করে নিবেন এবং সেলাই কাটার দিন আরো একটি ড্রেসিং করে নিবেন। ]
অপারেশনের ভিডিও লিংক-
- https://www.youtube.com/watch?v=Wu823RYj1Qk&t=57s
- https://www.youtube.com/watch?v=h9afzN8oTLk
- https://www.youtube.com/watch?v=0zEXqj_pJjo
- https://www.youtube.com/watch?v=-H4QtWcmr74&t=5s
- https://www.youtube.com/watch?v=yXcJMzIxSks
- https://www.youtube.com/watch?v=2LVJDrycYuo&t=12s
- https://www.youtube.com/watch?v=C4D-LqmLTu8
- https://www.youtube.com/watch?v=qjm3Qefy4WU (Last Operation video)
.
বিশেষ সতর্কতা :
যেহেতু গাইনেকোমাস্টিয়া জটিল কোন রোগ না। এটা সার্জারী না করলেও শারীরিক কোন সমস্যা হয় না। এটা কেবল সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকরণ। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের ডাক্তার দ্বারা সার্জারী করানো উচিত।
ভালো রেজাল্টের জন্য আপনার কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
- অবশ্যই কসমেটিক সার্জন সিলেক্ট করবেন।
- সিনিয়র প্রফেসর হলে ভালো।
- বিভাগীয় প্রধান কিংবা সাবেক বিভাগীয় প্রধান হলে সব থেকে ভালো।
সার্জারীর পর ভালো রেজাল্টের জন্য আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। এ ধরনের সার্জারীর পর কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যায়:-
- অনেক সময় ভিতরে কিছু চর্বি থেকে যায়।
- নিপুল নিচের দিকে হালকা ডেবে যায়।
- একটি ছোট ও একটি বড় দেখা যায়। (অনেকটা 19/20 এর মতো)
- যে কোন ছোটখাটু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তার প্রয়োজনে 15 মিনিটে হালকা সার্জারীর মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করে দিবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। গাইনেকোমাস্টিয়া রিকভারি সময় 90/160 দিন হয়ে থাকে। ভালো রেজাল্টের জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রত্যেক ডাক্তারের ভালো-খারাপ রেজাল্ট হয়ে থাকে। ডাক্তাররা সব সময় ভালো টা সবার সামনে ফোকাস করে। খারাপ রেজাল্টের কথা কেউ বলে না। তবে খারাপ রেজাল্ট খুব কমই হয়। এটা অনেকটা আপনার ভাগ্য।
…
…
ব্যায়াম করা :
অপারেশন করার পর থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের আগে জীমে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। ৯০ দিনের পর থেকে আপনি হালকা হালকা ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। সার্জারির ১৮০ দিন পর আপনি জীমে গিয়ে ভারি ব্যায়াম করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান অবস্থা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। যদি জীম করলে সমস্যা হয়, তাহলে আরো কিছু দিন পর থেকে জীম করতে পারেন।
.
.
আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য :
- সার্জারির করার সিদ্ধান্ত আপনি দিবেন এবং ডাক্তার অপারেশন করবেন। হাতের মাধ্যমে এই অপারেশন টা করা হয় সুতরাং অপারেশন ভালো বা মন্দ যে কোনটাই হতেই পারে। তবে ডাক্তার কখনো নিজের সুনাম নষ্ট করার জন্য মন্দ ভাবে সার্জারি করবেন না। অনাকাঙ্খিত কারণে কাঙ্খিত রেজাল্ট নাও হতে পারে। তবে ডাক্তার যেভাবে বলবে ঠিক সেই ভাবেই মেনে চলতে হবে।
- সার্জারির পর যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তার এর নিকট আসতে হবে এবং ডাক্তার ফ্রি তে সমস্যা সমাধান করে দিবে এক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা লাগলে, আমি অবশ্যই সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
- ভালো এবং দ্রুত রেজাল্ট পেতে বেল্ট পরতে পারেন । গরমের কারণে যদি বেল্ট পরলে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কম সময় বেল্ট পরতে হবে। গরমে অনেক সময় ঘা ঘেমে ইনফেকশন হতে পারে।
- অপারেশনে রেজাল্ট আসতে 90/160 দিন সময় লাগে । সুতরাং সেই পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং এর আগে কোন সমস্যা মনে হলে ডাক্তার কে জানাতে হবে। ডাক্তার যে ভাবে চলতে বলবে, সেই ভাবে চলতে হবে । অহেতুক কোন প্রকার টেনশন করা যাবে না।
- হাতের মাধ্যমে এই অপারেশন টা করা হয় সুতরাং সমস্যা হতেই পারে, তাই অপারেশন এর পরে কোন সমস্যা হলে এর ফুল মেডিক্যাল সাপোর্ট বা সমাধান ডাক্তার দিবেন। আপনার যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাকে বলবেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
-
খরচ –
- গ্রেড -1 = 30,000 টাকা
- গ্রেড -2 = 35,000 টাকা
- গ্রেড -3 = 38,000 টাকা
- গ্রেড -4 = 40,000 টাকা
- বিগ সাইজ = আলোচনা সাপেক্ষে।
- স্টুডেন্টদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে।
- ভর্তির আগে কোন প্রকার টাকা এডভান্স করতে হয় না। যেদিন অপারেশন হবে, সেই দিন হাসপাতালে ভর্তির সময় রিসিপশনে টাকা জমা দিয়ে রিসিভ নিবেন। হাসপাতালের রিসিপশন ছাড়া অন্য কোথাও বা কারো কাছে টাকা লেনদেন করবেন না। রিসিপশনের রিসিভ ছাড়া যদি লেনদেন করেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হলে, আমাকে দায়ি করতে পারবেন না।
- 1000+ পেসেন্টের অপারেশনের বাস্তব নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কথা গুলো বললাম।
- জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। কোন প্রকার সমস্যা হলে, আমাকে দায়ি বা দোষারূপ করতে পারবেন না। আপনার যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাকে বলবেন, আমি আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
ডাক্তার এর পরিচয়-
প্রফেসর ডা. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ
সাবেক পরিচালক
সাবেক বিভাগীয় প্রধান
বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিট
উপরোক্ত বিষয় গুলো বিবেচনা করে যদি চলতে রাজি থাকেন, তাহলে আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন । আমি আপনার অপারেশনের সমস্ত বিষয়ে সহযোগিতা করবো। ইনশা আল্লাহ।
.
>>যোগাযোগ <<
মো: আলমগীর হোসাইন
Mobile : 01716 216512 (Imo/what’s up)
Email : alamgir25790@gmail.com
.
.
এছাড়াও ওনি যে যে রোগের চিকিৎসা প্রধান করে থাকেন-
.
,
সব শেষে আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি , আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটি আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে সর্বদা আমাদের পাশে থেকে আমাদের সাহস বাড়াতে পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । সেই আশা বাদ ব্যক্ত করে সবাইকে আবারো ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। আজ এ পর্যন্ত । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে। আল্লাহ হাফেজ।
.
.
.
আমাদের আরো পপুলার আর্টিকেল
-
রিজিক | আজকের মাংসে বরকত অনেক বেশি ছিলো | Heart Touching Real Story
-
গ্রুপে কিভাবে সেলার কোড পাবেন ? এটা পড়ুন। কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না।
-
সফল হওয়ার ৫ টি কার্যকরী টিপস || যদি সফল হতে চান তাহলে জীবনে এক বার হলেও পড়ুন
-
সফল লোকের ৪ টি অভ্যেস যা আপনার জীবন বদলে দিবে || 4 habits of successful people ll change your life
-
সফল হওয়ার মূলমন্ত্র। The key to success _ Motivational Speech _ By smalamgir
-
জীবনটা বড়ই অদ্ভুদ || হতাশা || হতাশা থেকে বের হোন নিজেকে নতুন আপনি তৈরি করুন
-
ফেসবুক পেইজ প্রোমোট || উদ্যোক্তাদের নাম ও তাদের ফেসবুক পেইজের নামের তালিকা
-
বিক্রয় বৃদ্ধির কিছু কার্যকরী উপায় সমূহ যা উদ্যোক্তাদের জানা জরুরী
-
পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল । Easy step to increase product sales
-
একজন সফল উদ্যোক্তার করণীয়_ What a successful entrepreneur needs to do
-
বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল এবং ক্রেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন এর ১০টি কার্যকারী কৌশল _ By smalamgir
-
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে মার্কেটিং করলে সফল হবেন? Digital Marketing
-
ইমেইল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করবেন ? What is email marketing and how to get started?
-
ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে যা জানা জরুরি_ How to easy step of Facebook Marketing
Spoken English Course :
Model Test :
Health Tips :
-
গাইনেকোমাস্টিয়া ( পুরুষের বড় স্তন ছোট করার ) সার্জারী || Gynecomastia Surgery in Dhaka, Bangladesh.
-
রাতে আকস্মিক মৃত্যুর বা হার্ট এ্যাটাক থেকে মুক্তির উপায়_ smalamgir
Outsourcing/Online Income :
Fiverr Gig :
- I will create YouTube Channel, Setup and Optimize properly
-
I will do Facebook promotion services for your any kinds of product or business
ধন্যবাদ।বাংলাতে এমন সাবলিল পোষ্ট পড়তে পেরে অনেক কিছু জানতে পারলাম।তবে আমার একটি প্রশ্ন আছে।
আমার গ্রেড় 4 গাইনোকোমেস্টিয়া আছে শুধুমাত্র ডান পাশে।এক্ষেত্রে মাএ একসাইডে কসমেটিক অপারেশন করাতে কত টাকা লাগতে পারে?
বিদ্র: আমি একজন স্টুডেন্ট।
আশাকরি আমার প্রশ্নের উওর দিবেন।
ধন্যবাদ ।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। এক সাইড অপারেশন করতে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিস্তারিত জানকে কল করুন- 01716 216512 নাম্বারে।